ইবতেদা (নূরানী) ভর্তি নির্দেশিকা
ইবতেদা (নূরানী) ভর্তি নির্দেশিকাঃ
ইবতেদা (নুরানী) বিভাগের উদ্দেশ্য নতুন ছোট শিক্ষার্থীদের আরবীর প্রাথমিক ধারণা দেয়া
সময়কাল: ইবতেদা (নূরানী) এক বছর মেয়াদী কোর্স:
১। আরবী বর্ণমালা থেকে শুরু করে বিশুদ্ধভাবে কুরআনুল কারীম পড়তে শেখানো হয়।
২। তাজভীদের (বিশুদ্ধভাবে কুরআন পড়ার বিশেষ প্রয়োজনীয় নিয়ামাবলীর) প্রাথমিক ধারণা দেয়া হয়।
৩। আল্লাহর নাম সমূহ মুখস্থ করানো হয়।
৪। ৪০টি হাদীস মুখস্থ করানো হয়।
৫। নিত্য প্রয়োজনীয় দু'আ সমূহ মুখস্থ করানো হয়।
৬। আরবী হাতের লেখা শেখানো হয়।
৭। নিত্য প্রয়োজন (মাসায়েল) দ্বীনি বিধি-বিধান শেখানো হয়।
৮। সময়-সুযোগ অনুযায়ী কুরআনুল কারীমের কয়েক পারা নাজরা পড়ানো হয়।
> কি ধরণের ছাত্র
১। যারা হিফয বিভাগে পড়ার ইচ্ছা পোষণ করে। অথচ এর আগে নূরানী ও নাজেরা পড়া না থাকায় হিফজে ভর্তি হতে পারছেনা
তারা ১ বছর ইবতেদা (নূরানী) পড়ার পর নাজেরা/ হিফজে ভর্তি হতে পারবে।
২। যারা কিতাব বিভাগে ভর্তি হতে ইচ্ছুক এবং ২য়/৩য় শ্রেণির উপযুক্ত বয়সী, কিন্তু আরবীর জ্ঞান না থাকায় ভর্তি হতে
পারছেনা, তারা ১ বছর ইবতেদা (নূরানী) পড়ার পর ২য়/৩য় শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে।
ভর্তি যোগ্যতা:
১. আবাসিকে থাকার যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে।
২. বয়স সাত থেকে দশ বছরের মধ্যে হতে হবে।
৩. শুধু ছেলেদের জন্য, মেয়েদের ব্যবস্থা নেই।
হিফয বিভাগ :
যারা নূরানী ও নাজেরা পড়ে এসেছে এবং মুখস্থ শক্তি খুব ভাল তারা হিফয বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
ভর্তি যোগ্যতা:
১. আবাসিকে থাকার যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে।
২. নাজেরা পড়তে চাইলে অবশ্যই আগে নূরানী, আর হিফযের জন্য নূরানী ও নাজেরা পড়া থাকতে হবে।
৩. মুখস্থ শক্তি খুব ভালো হতে হবে।
৪. বয়স ৮ থেকে ১১ বছরের মধ্যে হতে হবে।
৫. ছাত্র হতে হবে। ছাত্রীর জন্য এখনো ব্যবস্থা হয় নি।
ভর্তি পরীক্ষা নির্দেশিকা:
১. হিফয ভর্তিচ্ছুক ছাত্রদের পূর্বে পঠিত বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হবে।
২. তার মুখস্থ শক্তি ভাল কিনা তা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হবে।